Thursday, 4 August 2022

আপনার জমি থাকলে এই ভিডিওটি অবশ্যই দেখুনঃ

 https://youtu.be/jmX9Gb2cmjQ

জমি মিউটেশনের সময় কি কি কাগজপত্র BL&LRO অফিসে নিয়ে যাবেন?

জমির মিউটেশন পশ্চিমবঙ্গের ভূমি সংস্কার আইনের ৫০ ধারায় একটি নির্দিষ্ট আবেদনপত্রের মাধ্যমে আবেদন করতে হয়। আমরা নমুনা আবেদন পত্র এই আলোচনার শেষে সংযোজন করে দেবো।
এবার আসি রেকর্ডের বা মিউটেশনের আবেদন পত্রের সঙ্গে যে যে কাগজপত্র যোগ করতে হবে তার আলোচনায়।

   ১) বিক্রয়, দানপত্র, হেবানামা বা বিনিময় দলিলের জেরক্স।
   ২) আপনি যদি ওয়ারিশান সূত্রে জমি প্রাপ্ত হন তাহলে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সংগৃহীত ওয়ারিশান সার্টিফিকেট ।
   ৩) যার নামে রেকর্ড আছে সেই ব্যাক্তি থেকে যিনি নিজের নামে রেকর্ড করতে চাইছেন, সেই ব্যাক্তি পর্যন্ত পিঠ দলিল বা চেন ডিড।
   ৪) হাল খাজনা দেওয়া রসিদের কপি। 
   ৫) আবেদন পত্রের সঙ্গে ১০ টাকার কোর্টফি সমেত ঘোষনাপত্র।
ঘোষনা পত্রের নমুনা শেষাংশে সংযোজন করা হলো।
   ৬) অনলাইন বা ডি সি আর- এর মাধ্যমে মিঊটেশন ফি জমা দেওয়া চালানের কপি।
   ৭) আবেদনকারী ও বিক্রেতাগণের  নাম ঠিকানা লেখা খাম পাঁচ টাকার  ডাকট

Saturday, 3 August 2019

দানপত্র দলিল বা ওয়ারিশ মূলে পাওয়া জমি রেকর্ড করতে আর ফি'জ লাগবে না



আপনি কি আপনার পিতা মাতার কাছ থেকে দানপত্র দলিল মূলে বা ওয়ারিশ মূলে জমি পেয়েছেন বা পাবেন?
তাহলে আপনার জন্য এই পোস্টটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
জেনে নিনঃ

১. এখন পিতা মাতার কাছ থেকে  দানপত্র মূলে জমি পেলে আপনকে আর মিউটেশন ফি'জ দিতে হবে না।

২. আপনি যদি ওয়ারিশমূলেও আপনার পিতা বা মাতার কাছ থেকে পেয়ে থাকেন। বিনা খরচেই আপনি আপনার জমি রেকর্ড করতে পারবেন।



Saturday, 27 July 2019

আপনার কি জমির রেকর্ডে নাম/অংশ/ঠিকানা/ জমির পরিমান ভুল আছে? জেনে নিন কিভাবে সংশোধন করবেন।

আপনার কি জমির রেকর্ডে নাম/অংশ/ঠিকানা/ জমির পরিমান ভুল আছে? জেনে নিন কিভাবে সংশোধন করবেন।



আপনার জমির রেকর্ডে নাম, অংশ বা পরিমাণ ভুল থাকলে, একটা সাদা কাগজে আপনার বয়ান লিখুন। আপনার মৌজার নাম, নং, খতিয়ান নং উল্লেখ করুন। সঠিক কি হওয়া উচিত ছিলো সেকথাও উল্লেখ করুন।
একটা ১০ টাকার কোর্ট ফি মেরে BL&LRO অফিসে জমা দিন। রিসিভ নিতে অবশ্যই ভুলবেন না।

অফিসে জিজ্ঞেস করে নেবেন, কবে নাগাদ আপনি আসবেন।
রেকর্ডে ভুল অনেক কারণে আসে, এজন্য আপনাকে  সেই সম্পর্কিত Documents নিয়ে আসবেন। কি ধরনের ভুলের ক্ষেত্রে কিরকম Documents নিয়ে আসবেন তা আলোচনা করছি,
যেমন ধরুন,
১) আপনি খুব সম্প্রতি রেকর্ড করিয়েছেন, কিন্ত নাম বা ঠিকানা বা পিতার নাম ভুল এসেছে। সেক্ষেত্রে আপনি, আপনি যে দলিল মূলে রেকর্ড করিয়েছেন সেই দলিলটি সঙ্গে নেবেন। নতুন পর্চা বা রেকর্ডে যেখানে আপনি দেখলেন ভুল এসেছে। সেই পর্চার কপি সঙ্গে নেবেন। আর যে কেস নাম্বার মূলে রেকর্ড হয়েছে, সেই কেস নাম্বারটির কথাও জানাবেন। কেস নম্বরটি পাবেন কোথায়? কেস নম্বরটি দলিলের ফ্রণ্ট পেজে শুনানির সময় সংশ্লিষ্ট অফিসার লিখে দেন, তাই দলিলের ফ্রণ্ট পেজে পেতে পারেন। এছাড়া, আপনার কাছে যে শুনানির নোটিশ ছিলো ওখান থেকেও পাবেন।

২) যদি আপনার রেকর্ড অনেক আগের হয়ে থাকে, কিন্ত আপনি বর্তমানে খেয়াল করলেন যে ওতে ভুল আছে। তাহলে আপনি যে পুরানো দলিল/দলিলগুলো মূলে আপনার উক্ত রেকর্ডটি হয়েছিলো সেই দলিল গুলো সংগে নিয়ে যাবেন। কোন দলিল হারিয়ে গেলে রেজিস্ট্রি অফিস থেকে তার জাবদা কপি তুলবেন।

৩) যদি আপনার ভুল আরো অনেক আগের হয়ে থাকে, তাহলে RS কপি তুলুন। তারপর সংশ্লিষ্ট অফিসারকে দেখান। উনি আপনাকে সহযোগিতা করবেন।


৪) আর কোন প্রকার ভুল থাকলে আমাদেরকে প্রশ্ন করুন, উত্তর দেব আমরা।

Tuesday, 5 June 2018

জমি রেকর্ড করতে গেলে খরচ কেমন হয়??




 সঠিক জ্ঞান না থাকার কারণে মাঝে মঝেই মানুষ জমি সংক্রান্ত ব্যাপারে নানাভাবে প্রতারিত হন। সেই সংক্রান্ত কিছু আমরা আমাদের আগের প্রচ্ছদ গুলিতে আলোচনা করেছি। এই প্রচ্ছদে আমরা আলোচনা করবো, জমি রেকর্ডের জন্য প্রকৃত খরচ কতো সেই সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে।

সত্যি কথা বলতে কি, জমি রেকর্ডের জন্য প্রকৃত খরচ খুবই নগন্য সেই তুলনায়, যেক্ষত্রে মানুষ প্রতারিত হয়ে অনেক টাকায় জমি রেকর্ড করেন। জমি সংক্রান্ত বিষয় আশয় নিয়ে জানার অনাগ্রহই এই প্রতারিত হওয়ার মূল কারণ।

বর্তমানে জমি রেকর্ডের জন্য যে পরিমাণ ফি সরকারকে প্রদান করতে হয়, ০২.০২.২০১৭ সালে বিজ্ঞপ্তি জারী হওয়ার পূর্বে সেই ফি তুলনামূলক ভাবে অনেক নগন্য ছিলো। এই ০২.০২.২০১৭ সালে সরকার বিজ্ঞপ্তি জারী করে ২০০৫ সালে জারী করা নামপত্তনের বা মিউটেশনের বা রেকর্ডের প্রসেস ফী-র পরিবর্তন করেন।

মিউটেশনের নতুন প্রসেস ফি প্রতি শতকে(ডেসিমেল), বন্ধনীর মধ্যে পুরানো ফি উল্লেখ করা হলো:

গ্রামীণ এলাকার জন্য:
১) কৃষি জমি ---- ৪০ টাকা (পুরানো ফি ১ টাকা)
২) অকৃষি ও অবাণিজ্যক জমি --- ১০০ টাকা (পুরানো ফি ১০ টাকা)
৩) বাণিজ্যক ও শিল্পের জন্য জমি --- ৫০০/১০০০ টাকা (পুরানো ফি ২০ টাকা)
{৫০০ টাকা প্রতি শতকে যদি জমির পরিমাণ  ১০ শতক বা তার কম,
১০০০ টাকা প্রতি শতকে যদি জমির পরিমাণ ১০ শতকের ঊর্দ্ধে হয়}

KMDA এলাকা বাদে পৌর এলাকার জন্য:
১) কৃষি জমি --- ৬০ টাকা (পুরানো ফি ১ টাকা)
২) অকৃষি ও অবাণিজ্যিক জমি --- ১৫০ টাকা (পুরানো ফি ১৫ টাকা)
৩) বাণিজ্যিক ও শিল্পের জন্য --- ১৫০০/৩০০০ (পুরানো ফি ৩০ টাকা)
{১৫০০ টাকা প্রতি শতকে যেখানে জমির পরিমাণ ১০ শতক বা তার কম, ৩০০০ টাকা প্রতি শতকে যেখানে জমির পরিমাণ ১০ শতকের ঊর্দ্ধে}

KMDA এলাকাভুক্ত পৌর এলাকার জন্য:
১) কৃষি জমির জন্য --- ৮০ টাকা (পুরানো ফি ১ টাকা)
২) অকৃষি ও অবাণিজ্যিক জমির জন্য --- ২০০ টাকা (পুরানো ফি ২০ টাকা)
৩) বাণিজ্যিক ও শিল্পের জন্য --- ৫০০০/১০০০০ টাকা (পুরানো ফি ৫০ টাকা)
{৫০০০ টাকা প্রতি শতকে যেখানে জমির পরিমাণ ১০ শতকের কম, ১০০০০ টাকা প্রতি শতকে যেখানে জমির পরিমাণ ১০ শতকের বেশি}



এব্যাপারে একটি ছোট্ট সমস্যার সমাধান করা যাক:

ধরুন, কোন ব্যাক্তি প্রশ্ন করলেন উনি পঞ্চায়েত এলাকায় বাস করেন উনি ৫ ডেসিমেল কৃষিজমি ক্রয় করেছেন, ওই জমি রেকর্ডের জন্য বর্তমানে মোট খরচ কতো?

সমাধান:

 গ্রামীন এলাকায় ১ ডেসিমেল জায়গা রেকর্ডের জন্য প্রসেস ফি ৪০ টাকা,
অতএব, ৫ ডেসিমেলের জন্য প্রসেস ফি ৪০*৫= ২০০ টাকা।
এর সঙ্গে যোগ হবে ঘোষনাপত্রের সঙ্গে জুড়ে দেওয়া ১০ টাকার কোর্টফি।

মোট খরচ = ২০০+১০ টাকা
                  = ২১০ টাকা
এর সঙ্গে যোগ হবে,  বিবাদী পক্ষকে আপনার পোস্টাল খরচ।


মিউটেশন ফি-র তালিকা:


( আরো তথ্যের জন্য আমাদের পেজকে সাবস্ক্রাইব ও লাইক করুন এবং অন্যের উপকারে আসবে এই অনুধাবন করলে শেয়ার করুন)



Monday, 21 May 2018

জমি কিনে ঠকে যাওয়ার আগে যে বিষয়গুলির ব্যাপারে আপনার অবশ্যই খোঁজ নেওয়া উচিত:~




কোন জমি কিনে ঠকে যাওয়ার আগে যে বিষয়গুলির ব্যাপারে আপনার অবশ্যই খোঁজ নেওয়া উচিত:


আমাদের অনেকেই জমি কেনার পর সেটা রেকর্ডের ব্যাপারে আর গুরুত্ব দেন না। জমি কিনে রেজিষ্ট্রি করে নেওয়ার পর ভাবেন, কাজ খালাস।  এবার দলিলটি আলমারিতে পড়ে থাকলো বছরের পর বছর। এখানে জানা দরকার সরকারি রেজিষ্ট্রার দলিলটি রেজিষ্ট্রি করেন দাতা ও গ্রহীতার উপস্থিতিতে, তিনি পুরো দলিলের পুরো বিষয়বস্তু পড়ে দেখেন না এবং পুরো বিষয়ের উপর তিনি দায়বদ্ধও নন। যার ফলে বহু মানুষের প্রতারিত হওয়ার উদাহরণ আছে। এমনকি অনেকেই পাট্টা জমিও ক্রয় করে ফেলেন, যা হস্তান্তরযোগ্য নয়, যার ফলে রেকর্ড করতে গিয়ে বুঝতে পারেন তিনি প্রতারিত হয়েছেন। এভাবেই কখনো সরকারি জমি, কখনো অন্যের জমি বিক্রি হয়ে যায়। কথিত আছে, তাজমহলও এইভাবেই বেশ কয়েকবার বিক্রি হয়ে গেছে।😂 কিছু কিছু রেলস্টেশনও নাকি বিক্রি হয়ে গিয়েছিলো , যা পুরোপুরিভাবে অবৈধ।

এজন্য জমি কেনার আগে ক্রেতার উচিত কিছু তথ্যের ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে তবেই জমি কেনার দিকে পা বাড়ানো। এরুপ কিছু তথ্যের ব্যাপারে নিম্নে উল্লেখ করা হলোঃ

১)    জমির দাগ নং, মৌজার নাম জেনে, জমিটিকে সরেজমিনে                দেখে আসতে হবে,
২)    জমিটি বর্তমানে কে দখল করছেন সেব্যাপারে নিশ্চিন্ত হতে                হবে,
৩)   BL&LRO অফিসে গিয়ে জমিটি কার নামে বর্তমানে রেকর্ড               আছে সেটি জানতে হবে, প্রয়োজনে ঐ রেকর্ডের একটি                     সার্টিফায়েড কপির জন্য আবেদন করে তুলে নিতে হবে।
৪)   যে এলাকার জমি সেই এলাকার রেজিস্ট্রি অফিস, মহকুমা                 রেজিস্ট্রি অফিস এবং জিলা রেজিস্ট্রি অফিসগুলিতে খোঁজ             নিয়ে দেখতে হবে, গত ১০/১৫ বছরের মধ্যে ঐ জমি হস্তান্তর             আগেই হয়ে গেছে কিনা।
৫)   যে জমি দখলে রয়েছে একজন, অথচ রেকর্ডে নাম রয়েছে                 অন্যজনের সেই জমি কেনা থেকে বিরত থাকুন।
৬)   জমিটির শ্রেণী জেনে নিন, আরও জেনে নিন জমিটি পাট্টামূলে          বিলি করা হয়েছে কিনা।
৭)   জমিতে পূর্ব থেকেই কোন বর্গাদার অবস্থান করছেন কিনা খোঁজ        নিন।

     এরপর আপনি জমি কেনার ব্যাপারে পা বাড়াতে পারেন।

( আরো তথ্যের জন্য আমাদের পেজকে সাবস্ক্রাইব ও লাইক করুন এবং অন্যের উপকারে আসবে এই অনুধাবন করলে শেয়ার করুন)

Tuesday, 8 May 2018

কিভাবে বাংলারভূমি ওয়েবসাইট মোবাইলেও খোলা যায়?



কিভাবে বাংলারভূমি ওয়েবসাইট মোবাইলেও খোলা যায়?



'' বাংলার ভূমি" ওয়েবসাইটটি বর্তমানে মোবাইল-এ হোম পেজ ছাড়া আর খুলছেইনা। আপনি যদি banglarbhumi.gov.in টাইপ করে ক্লিক করেন। তাহলে এই ওয়েবসাইটের হোম পেজে যে লিংক গুলো দেওয়া আছে, ওগুলো থেকে কোন রেসপন্স পাবেন না।
তাহলে কি অতি প্রয়োজনে আপনাকে কি বার বার সাইবার ক্যাফেতে দৌড়তে হবে?

তা কিন্ত নয়। এই লেখাটা পড়ার পর আপনিও মোবাইলে উক্ত ওয়াবসাইটি খুলতে পারবেন। এজনহ আপনাকে গুগোল প্লেস্টোর থেকে একটি বিশেষ সফটওয়্যার ডাউনলোড করতে হবে। সফটওয়্যারটির নাম Puffin Web Browser । প্লেস্টোরে টাইপ করুন  Puffin Web Browser।


  সফটওয়্যার ডাউনলোডের পরও কিছু সমস্যা থাকবে,সেগুলো নিয়েও আমরা আলোচনা করবো।

আপনি সরাসরি এই লিংক থেকেও সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে নিতে পারেন, ডাউনলোড লিঙ্ক: Puffin Web browser

সফটওয়্যারের ইণ্টারফেসটি এইরুপ:


এরপর আপনি সফটওয়্যারটি Open করলে এই স্ক্রিনটি দেখতে পাবেন:

 এবার কিছু ফোন আছে যেগুলো থেকে আপনি পাফিন ব্রাউজার খুলে তারপর সরাসরি banglarbhumi.gov.in ওয়েবপেজ কে ব্যাবহার করতে পারবেন। আর কিছু ফোনে এই ওয়েবপেজটি ওপেন হলেও, আর কোন কাজ হবে না। তখন আপনাকে বাঁ দিকে নীচের কর্ণারে যে মাউসের প্রতীক আছে তার উপর ক্লিক করতে হবে।

ওখানে ক্লিক করার পর আপনার সামনে একটি ট্রাকপ্যাড খুলে যাবে (উপরের ছবির মাঝে ডানদিকে খেয়াল করুন)। আপনি ওই ট্রাকপ্যাডটিতে আঙুল রেখে সরালে ছবিতে তীরের মতো যে কারসর দেখা যাচ্ছে, সেটিও একস্থান থেকে অন্যস্থানে সরে যাবে। এইভাবে আপনি পুরোপুরিভাবে মোবাইল থেকেই বাংলার ভূমি ওয়েবসাইটটি খুলে প্র‍্যয়োজনীয় তথ্য জেনে নিতে পারবেন।


আরও দেখুন: