কোন জমি কিনে ঠকে যাওয়ার আগে যে বিষয়গুলির ব্যাপারে আপনার অবশ্যই খোঁজ নেওয়া উচিত:
আমাদের অনেকেই জমি কেনার পর সেটা রেকর্ডের ব্যাপারে আর গুরুত্ব দেন না। জমি কিনে রেজিষ্ট্রি করে নেওয়ার পর ভাবেন, কাজ খালাস। এবার দলিলটি আলমারিতে পড়ে থাকলো বছরের পর বছর। এখানে জানা দরকার সরকারি রেজিষ্ট্রার দলিলটি রেজিষ্ট্রি করেন দাতা ও গ্রহীতার উপস্থিতিতে, তিনি পুরো দলিলের পুরো বিষয়বস্তু পড়ে দেখেন না এবং পুরো বিষয়ের উপর তিনি দায়বদ্ধও নন। যার ফলে বহু মানুষের প্রতারিত হওয়ার উদাহরণ আছে। এমনকি অনেকেই পাট্টা জমিও ক্রয় করে ফেলেন, যা হস্তান্তরযোগ্য নয়, যার ফলে রেকর্ড করতে গিয়ে বুঝতে পারেন তিনি প্রতারিত হয়েছেন। এভাবেই কখনো সরকারি জমি, কখনো অন্যের জমি বিক্রি হয়ে যায়। কথিত আছে, তাজমহলও এইভাবেই বেশ কয়েকবার বিক্রি হয়ে গেছে।😂 কিছু কিছু রেলস্টেশনও নাকি বিক্রি হয়ে গিয়েছিলো , যা পুরোপুরিভাবে অবৈধ।
এজন্য জমি কেনার আগে ক্রেতার উচিত কিছু তথ্যের ব্যাপারে খোঁজ নিয়ে তবেই জমি কেনার দিকে পা বাড়ানো। এরুপ কিছু তথ্যের ব্যাপারে নিম্নে উল্লেখ করা হলোঃ
১) জমির দাগ নং, মৌজার নাম জেনে, জমিটিকে সরেজমিনে দেখে আসতে হবে,
২) জমিটি বর্তমানে কে দখল করছেন সেব্যাপারে নিশ্চিন্ত হতে হবে,
৩) BL&LRO অফিসে গিয়ে জমিটি কার নামে বর্তমানে রেকর্ড আছে সেটি জানতে হবে, প্রয়োজনে ঐ রেকর্ডের একটি সার্টিফায়েড কপির জন্য আবেদন করে তুলে নিতে হবে।
৪) যে এলাকার জমি সেই এলাকার রেজিস্ট্রি অফিস, মহকুমা রেজিস্ট্রি অফিস এবং জিলা রেজিস্ট্রি অফিসগুলিতে খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে, গত ১০/১৫ বছরের মধ্যে ঐ জমি হস্তান্তর আগেই হয়ে গেছে কিনা।
৫) যে জমি দখলে রয়েছে একজন, অথচ রেকর্ডে নাম রয়েছে অন্যজনের সেই জমি কেনা থেকে বিরত থাকুন।
৬) জমিটির শ্রেণী জেনে নিন, আরও জেনে নিন জমিটি পাট্টামূলে বিলি করা হয়েছে কিনা।
৭) জমিতে পূর্ব থেকেই কোন বর্গাদার অবস্থান করছেন কিনা খোঁজ নিন।
এরপর আপনি জমি কেনার ব্যাপারে পা বাড়াতে পারেন।
( আরো তথ্যের জন্য আমাদের পেজকে সাবস্ক্রাইব ও লাইক করুন এবং অন্যের উপকারে আসবে এই অনুধাবন করলে শেয়ার করুন)